কুখ্যাত ভারতীয় অপরাধী গ্যাং লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এর সদস্যরা কানাডায় খুন এবং সহিংসতার মত সংগঠিত অপরাধের সাথে জড়িত। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকরা গ্যাং সদস্যদের ব্যবহার করে। সোমবার কানাডার পুলিশ এ অভিযোগ করেছে।
কানাডার রাজধানী অটোয়ায় পুলিশ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে যে তারা ছয় ভারতীয় কূটনীতিকের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। এই প্রমাণ পাওয়ার পর ওই ছয় কূটনীতিককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। এ কারণে কানাডা ভারত সরকারকে কূটনীতিক হিসেবে তাদের অনাক্রম্যতা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিল। কিন্তু নয়াদিল্লি একমত নয় এবং অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ফলে ছয়জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা।
কানাডা সোমবার অটোয়াতে ভারতীয় হাইকমিশনার সহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে, এমন একটি পদক্ষেপে যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। বারবার কূটনৈতিক বহিষ্কারের পর, কানাডিয়ান পুলিশ ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ করতে শুরু করে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগের প্রমাণ রয়েছে।
অটোয়া পুলিশ কমিশনার মাইক ডুহামে সাংবাদিকদের লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, “ভারতীয় সরকারের এজেন্টরা কানাডায় গুরুতর অপরাধমূলক অপরাধের সাথে জড়িত।” তিনি বলেন, “চলমান তদন্ত সম্পর্কে জনসমক্ষে তথ্য প্রদান করা আমাদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ নয়, তবে আমরা বিশ্বাস করি যে দেশের জননিরাপত্তা এখন বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।”
এদিকে, অটোয়া পুলিশের সহকারী কমিশনার ব্রিগেট গোভিন বলেছেন, “লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এই অপরাধের সাথে জড়িত এবং তাদের সদস্যরা ভারত সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।” তিনি আরও দাবি করেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠী এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যা কানাডার জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ।
জাস্টিন ট্রুডো উল্লেখ করেছেন, “পুলিশ কমিশনার ডুহামে পূর্বে বলেছেন যে ভারত সরকারের এজেন্টরা এই কার্যকলাপে জড়িত এবং কানাডার জননিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।”
এই পরিস্থিতিতে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে এবং দুই দেশের কূটনৈতিক কৌশল বদলে যেতে পারে।
